বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র অর্থায়নে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের কাজ শুরু হলেও এখনও সেই কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যখনি কাজ ধরতে যায় তখনি ওই এলাকার মৃত নসর উদ্দিনের ছেলে আব্দুল গফুর ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার উক্ত বিদ্যালয়ে গিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে। যার ফলে কয়েক দফা কাজ পিছিয়ে নেওয়ার পর এখন বিদ্যালয়ের সীমানার প্রাচীরের কাজ বাঁধার মুখে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাট সদরের ভাটিবাড়ী থেকে মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ রোড়ের পূর্ব দিকে কোদালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের সীমানার প্রাচীর পশ্চিমের কিছু উত্তর ও পূর্বের কিছু অংশে কাজ শেষ হলেও দক্ষিণ, পূর্বের কিছু অংশ ও পশ্চিমের কিছু অংশের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। সেই সাথে মূল গেটের কাজও এখনও শুরু করতে পারেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যালয়টি, আধুনিক ভবণ নির্মাণ হয়েছে বহু আগেই, বি আর এস রেকর্ড মৌজা- কোদালখাতা, খতিয়ান নং ২, দাগ নং- ২১৫, জমির পরিমান ৫৪ শতক, সহকারী কমিশনার (ভূমি), লালমনিরহাট সদর, লালমনিরহাট মহোদয়ের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির সীমানা নির্ধারিত হওয়ার পরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়, প্রাচীর নির্মাণের বেশির ভাগ কাজই প্রায় শেষ হয়েছে, বিদ্যালয় ভবনের পূর্ব, দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিকের কাজ চলমান ছিল। আব্দুল গফুর ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বাঁশের খুঁটি স্থাপন করেন এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
অভিভাবক ও এলাকাসী ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করে জানায়, ইউনিয়নের সকল মুরব্বিরা মিলে আব্দুল গফুরের সাথে বিদ্যালয়ের কাজ বন্ধের সঠিক তথ্য জানতে চেয়েও কোন সারা পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের ভূমির দলিল না থাকায় বর্ণিত ভূমি যে মোঃ আব্দুল গফুর এর পিতা নসর উদ্দিনের এই মর্মে কোনো ভিত্তি নেই তাঁদেরও বাটোয়ারা দলিল নেই। প্রাচীর সীমানার কাজ শুরু হয়েছে বহু আগে এখনও কাজ শেষ হয়নি। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রভাব পড়ছে সেই সাথে কাজ অর্ধেক হওয়ার কারণে ঝুঁকিতে আছে তারা, সীমানার অসম্পূর্ণ কাজে ফলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের সীমানার প্রাচীরের কাজ বন্ধ করার বিষয়ে আব্দুল গফুরের সাথে কথা জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল হামিদ সরকার বলেন, আমরা যখনি কাজ করতে গেছি তার স্ত্রী সামনে এসে দাড়ায় খুব বাজে আচরণ করে শ্রমিকদের কোদাল কেড়ে ফেলে দেয়।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র প্রকৌশলী মোঃ এন্তাজুল রহমান জানায়, গফুরের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি, যত দুর জানি একটা হয়েছে ইতিমধ্যে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোনীতা দাস বলেন, আমি এখানে নতুন তাই বিষয়টি জানতাম না, দেখি দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যায় কিনা।